নিহস্ব প্রতিবেদক ::
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালনের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার চাঁদ দেখা গেলে পরশু বুধবার ঈদ।
কাল বিকেল থেকেই শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার জন্য অগণিত মুসলিম তাকিয়ে থাকবেন আকাশের দিকে। সোমবার যদি চাঁদ দেখা না যায় তাহলে বৃহস্পতিবারে উদযাপিত হবে ঈদুল ফিতর। চাঁদ দেখার জন্য কালই জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি বৈঠকে বসবেন।
এবারে ২৯ রোজার পর ঈদ অনুষ্ঠিত হবে এমনভাবেই ঈদেও ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার ঈদেও ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্ব শাসিত প্রতিষ্ঠানে ইতিমধ্যে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। একদিন ঈদ পিছিয়ে গেলে ছুটি একদিন বাড়বে।
যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও ব্যাপক উত্সাহ, আনন্দ ও উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে সারাদেশে মুসলমানরা ঈদুল ফিতর উদযাপন করবে। আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপিত হবে দিনটি। সিয়াম সাধনার সাথে সংযম, তারাবীহ, যাকাত, ফিতরা আদায় করে মহান আলস্নাহ তায়ালার ক্ষমা পাওয়ার আনন্দই হচ্ছে ঈদুল ফিতর। আর এই আনন্দের সঙ্গে মুসলিম বিশ্বের শান্তি কামনাও থাকবে। দারিদ্র্য, শোষণ, জুলুম, হিংসা ও সন্ত্রাসের অসিত্মত্ব শেষ হবে এই কামনাও করা হবে ঈদেও জামাতের বিশেষ মোনাজাতে। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ শুভেচ্ছাবাণী দিয়েছেন।
ঐতিহ্যবাহী বৈশিষ্ট্য ও মহিমায় এ দেশের মানুষ ঈদুল ফিতর পালন করবে। পবিত্র ঈদের দিনে ভ্রাতৃত্বের সুমহান আদর্শের ভিত্তিতে ঈদের জামাতে এক কাতারে শামিল হবেন সবাই। ঈদ উৎসবের মাধ্যমে সহৃদয়তা এবং সামাজিক ঐক্যের বন্ধন দৃঢ় হওয়ার আশা করে ঈদের জামাতে ছুটে যান সবাই।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্র রমজানের পুরো এক মাস রোজা পালন করে ঈদের জামাত নামাজ আদায়ের পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছে। রাজধানীসহ সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে ঈদ জামাতের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত রাজধানীর হাইকোর্ট প্রাঙ্গনে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে বলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ঘোষণা দিয়েছে। বৈরি আবহাওয়ার কারণে ওই সময়ে জামাত অনুষ্ঠিত না হলে সকাল ৯টায় বায়তুল মোকররম মসজিদে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি, বিচারপতিগণ, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবর্গ, মুসলিম বিশ্বের কূটনীতিকরা জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। ঈদগাহে মহিলাদের আলাদা নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া শোলাকিয়াসহ সারাদেশে বিভিন্ন ঈদগাহ ময়দানও সাজানো হয়েছে নামাজের জন্য।
সরকারি, আধা-সরকারি ভবন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন ও সশস্ত্র বাহিনীর সকল স্থাপনাসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় পতাকা ও ‘ঈদ মোবারক’ খচিত ব্যানার মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে মোড়ে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত: